এসি-র সুখ ও অসুখ
এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমের ভালো ও মন্দ উভয় দিকই আছে। দরকার সচেতনতা।
খুব বেশি দিনের কথা নয়, এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেম ছিল কিছু বড় মানুষের প্রয়োজনে,কারও বা বিলাসিতা বা কোথাও চিকিৎসা বা গবেষণার ক্ষেত্রে দরকারি। কিন্তু সময় বদলেছে, জীবনের বাঁক বদলেছে, কর্মপদ্ধতি বা কর্মসংস্কৃতির প্রসার ঘটেছে। এর মধ্যে এসেছে কর্মীদের কার্যক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য ভাবনা, যন্ত্রপাতির সংরক্ষন, উদ্দেশ্য কর্মমুখীনতা বাড়িয়ে উৎপাদনশীলতার দিকে অগ্রণী পদক্ষেপ। আমরা চাই, কি না চাই তাই এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেম সর্বতোভাবে ঢুকে পড়েছে কর্মক্ষেত্রে, অফিস ঘরে, শোওয়ার ঘরে, ড্রয়িং-ডাইনিং-কিচেনেও, পরিবহণে।
যে কোনও সিস্টেমের ভালো ও মন্দ উভয় দিকই আছে। তাই দরকার সচেতনতা। খুব বেশি গরমের একটি ঋণাত্মক প্রভাব আছে। আমাদের বুদ্ধি বৃত্তি এবং শারীরিক কর্মক্ষমতার উপর। এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমে এটা পরিশোধিত করে, আমরা উন্নততর অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে পারি।
(১) কাজে ও বিশ্রামে বাড়ায় স্বাচ্ছন্দ্য, ফলে কাজের উৎকর্ষ বৃদ্ধি করে।
(২) শারীরিক ক্ষমতা ও বুদ্ধি বিকাশজনিত ক্ষমতার বৃদ্ধি।
(৩) কম তাপমাত্রায় কীটপতঙ্গ এবং পরজীবীর উপস্থিতি কমায়।
(৪) ঘাম যেহেতু কম হয় তাই শারীরিক সুস্কতার পরিমাণও কম।
(৫)পরিমিত, পরিশীলিত এবং পরিচর্যা ক্রমাণবয় পরিদর্শিত অবস্থায় বাইরের কীটাণু , রেনু ইত্যাদি বেরিয়ে যায় এবং বাতাস হয় পরিশোধিত।
এবার আসি কি কি খারাপ দিক আছে তার কথায় -
(১) তাপমাত্রা এবং জলীয়বাষ্পের পরিবর্তন আমাদের শ্বাসতন্ত্রকে আক্রমণ করতে পারে। ত্বক এবং মিউকাস মেমব্রেন যেমন ঠোঁটের ভেতর দিক ইত্যাদিতে একটা শুষ্কতা এনে দেয়।
(২) যেহেতু বদ্ধতা আছে তাই শ্বাসতন্ত্রে ইনফেকশন ছড়াতে পারে।
(৩) বাতাসবাহিত ধূলিকণা এবং ছত্রাক অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে।
(৪) হঠাৎ করে নাক দিয়ে জল পড়া, গলায় অসুবিধা, বসে যাওয়া, কণ্ঠস্বর ভারী হওয়া ইত্যাদি হতে পারে।
(৫) কিছু চোখের রোগ, কনজাংটিভাইটিস বা ব্লোফেরাইটিস হতে পারে।
(৬) যারা কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করছেন তাঁদেরও কিছু অসুবিধা হতে পারে।
(৭) এছাড়া মাথা ঘোরা, মাথা ব্যাথা, ক্লান্তিভাব, জোয়েণ্ট পেন কোনও ক্ষেত্রে হতে পারে।
উপরোক্ত সমস্যা আছে যেমন, তেমনি তার সমাধানও আছে।
(১) সমগ্র অংশটি নিয়মিতভাবে বাতাস চলাচল ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
(২) পেশাগতভাবে স্থাপন এবং রক্ষণাবেক্ষণ দরকার।
(৩) তাপমাত্রা ২১ – ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়া উচিত।
(৪) গত বাষ্প মাত্রা ৬০% থেকে ৭০% হওয়া উচিত।
(৫) অ্যালার্জি হয় বা যারা ভোগেন তাঁদের জন্য High
Efficiency Particulate Air (HEPA) ফিল্টার ব্যবহার করার জন্য বলা হয়।
HEPA ফিল্টার কিন্তু একবারই ব্যবহৃত হয়, এর কণা দূরীকরণ ক্ষমতার ন্যূনতম ভাবে
(Minimum Particulate Removal Efficiency) 99.97% , 3 micron বা এর থেকে বড় বর্জের হওয়া উচিত।
HEPA ফিল্টার বিভিন্ন ক্ষমতা সম্পন্ন হয়। আলট্রা লো পেনিট্রেশন ফিল্টার ৯৯.৯৯৯৫ % (১ মিক্রন এর ক্ষেত্রে)।
যারা খুব বেশি অ্যালার্জি প্রবণ তাঁদের জন্য বায়ু পরইশোধক এবং আতি বেগুনি আলো পরিস্করণ পদ্ধতি কার্যকারী। হঠাৎ যদি গরম থেকে ঠান্ডায় প্রবেশ করতে হয়, তাহলে পাতলা একটা সুতির চাদর আমাদের শরীরের কন্ডিশানিং সিস্টেমকে রক্ষা করতে পারে অনেকাংশে।
Click on the below link to purchase a Low-Cost super Durable Air Conditioner from the House of TATA. Upon clicking you will be routed to Amazon website.