১৫১       উঠান
টনটন ঘণ্টায়
বাড়ি
কোন
ছাগলের মুখে
দাড়ি।
১৫২      এক
মাড়ি দাঁত
তার ভাঙ্গে
জঙ্গল বন
দাঁত
দিয়ে তোলে
পোকা বলে
সে কোনজন
?
১৫৩      শোন
তবে কালিদাসের
হেঁয়ালির ছন্দ
হাজারটা
দরোজা আছে
তবু মানুষ
বন্ধ।
১৫৪      মুখ
দিয়ে বমি
করে রক্ত
কালো কালো
তোমার
আমার কাছে
জিনিসটা খুব
ভালো।
১৫৫      পাখী
নয় তবু
আছে, লেজ,
মাথা, পাখা
সবাই
আছে উড়ে
যায়, যথা
ইচ্ছা তথা।
১৫৬      বাঁকা
মাথা এক
পায় ঢলঢলে
জামা গায়
ঠেলা
খেয়ে ফুলে
ওঠে তোমরা
কি চেন
তায়।
১৫৭      ছোট
গাছখানি তায়
কতো ফল
ধরে,
একটা
যদি খায়
তবে আহা
উহু করে।
১৫৮      আমি
থাকি থালে,
তুমি থাক
ডালে,
                তোমার
আমার দেখা
হবে মরণের
কালে।
১৫৯      পাঁচ
অক্ষরের ইংরাজী
না সবার
ঘরে আছে,
প্রথম
অক্ষর বাদ
দিলে সবার
ঘরে আছে।
১৬০      তেরো
মাস বয়েসেতে
হয় ছেলে
মা
ছেলে
হয় গণ্ডায়
গণ্ডায় এ
কেমন মা।
১৬১       ছোট
ছোট কিশোরী
পরে সাদা
শাড়ী 
নায়
না, দায়
না, কথাও
বলে না,
তবু লোকে
বলে সুন্দরী।
১৬২      তিন
অক্ষরে নাম
তার সবার
ঘরে রয়
মধ্যের
অক্ষর বাদ
দিলে বাদ্যযন্ত্র
হয়।
১৬৩      গরমে
রাখলে গলে
যায়, ঠাণ্ডায়
হয় শক্ত
পৃথিবীর
সব লোকেই
এ জিনিসের
ভক্ত।
১৬৪      যাকে
আমি আনতে
গেলাম, দেখেই
এলাম গিয়ে
যখন
সে চলেই
গেল, তাকে
এলাম নিয়ে।
১৬৫      কালিদাস
পণ্ডিতে কয়
বাল্যকালের কথা
নয়
হাজার তেঁতুল
গাছে কয়
হাজার পাতা
?
১৬৬      আমি
তুমি একজন,
দেখতে এক
রূপ
আমি
কতো কথা
কোই, তুমি
কেন চুপ
?
১৬৭      চিঠি
চিঠি পাতাগুলি
নানা ছবি
ধরে
একটা
হারিয়ে গেলেই
কলজে ফেটে
মরে।
১৬৮      গঙ্গার
ওপরে কাঠের
পুল তার
ওপর ব্রহ্মার
বাসা
কেউ
খায়, কেউ
নেয়, কেউ
করে আশা।
১৬৯      পাখা
নাই উড়ে
চলে, মুখ
নাই ডাকে
বুক
চিরে আলো
ছোটে, চেনো
কি তাকে
?
১৭০      ভন
ভন করে
তবু, ভোমরা
সে নয়
মাথা
দিয়ে মাটি
খোঁড়ে ইঁদুরও
নয়!
১৭১       পাঁচ
মেয়ে তুলে
দিল বত্রিশ
ছেলে ঘাড়ে
দূরে
ছিল দিদিমা
বুড়ী টেনে
নিল ঘরে
১৭২      মানুষও
নয় জলও
নয় সাথে
সাথে ঘোরে
লাথি
দিলে সেও
লাথি দেয়
গায়ের জোরে।
১৭৩      হাত
নাই পাও
নাই দেশে
দেশে ঘোরে
অভাব
হইলে তার
লোকে অনাহারে
মরে।
১৭৪      পালবাড়ীর
পাজী ষাঁড়
ঝাল খাওয়ার
যম
হাজার
মন মরিচ
দিলেও বেরোয়
না তার
দম।
১৭৫      জন্মে
সাদা কর্মে
কালোয় গলায়
লোহার হার
লাফ
দিয়ে আহার
করে লম্বা
লেজ তার।
১৭৬      আমি
হাসাই আমি
কাঁদাই, নাহি
আমি প্রাণী
দেখতে
এসে সবাই
ভোলে বেদনা
তাইতো জানি।
১৭৭      পরের
ঘরে জন্ম
আমার দেখতে
আমি কালো
তাই
বলে ভুল
করো না
কেউ বাসতে
আমায় ভালো।
১৭৮      আজব
একটা জিনিস
দেখে এলাম
মাঠে
আঠ
পা তার
দুই হাঁটু,
লেজ আছে
তার পিঠে।
১৭৯      কাঁচায়
তুল তুল
পাকলে সিন্দূর
এই
শ্লোক যে
না ভাঙ্গায়
সে ধেড়ে
ইঁদুর।
১৮০      বাজার
থেকে এলো
সাহেব কোট-প্যান্ট পরে
কোট-প্যান্ট খোলার
পর চোখ
জ্বালা করে।
১৮১      চলিতে
চলিতে তার
চলা হল
ভার
মাথাটি
কাটিয়ে দিলে
চলিবে আবার।
১৮২      আগায়
খস খস
গোড়ায় মৌ
যে
বলতে না
পারবে সে
পবন ঠাকুরের
বৌ।
১৮৩      ঈড়িং
বিরিং তিড়িং
ভাই
চোখ
দুটো আছে,মাথার তার
নাই।
১৮৪      তিন
অক্ষরের নাম
তার সর্ব
লোকে খায়
প্রথম
অক্ষর বাদ
দিলে রমণী
নাচায়।
১৮৫      ছোট
ছোট ছেলেমেয়ে
দুধুভাতু খায়
বড়
বড় গাছের
সাথে লড়াই
করতে যায়।
১৮৬      ঝুপড়ি ঝুপড়ি
ঘরে বসাইলাম
চারা
ফুল
নাই, ফল
নাই, সুধু
পাতাতে ভরা।
১৮৭      খোসা
আছে বোঁটা
নাই বল
তো কি
জিনিস ভাই
না
বলতে পারলে
বুঝবো তোমার
মাথায় ঘিলু
নাই।
১৮৮      বলতে
পারো ভাইয়া
এ কেমন
ধারা
রাতে
থাকে শুয়ে
দিনে থাকে
খাড়া।
১৮৯      এমন
একটি প্রাণী
বের করো
তো খুঁজে,
সর্বদাই
সে হেঁটে
বেড়ায় চোখ
না বুজে।
১৯০      এক
শিং বারো
ঠ্যাং কোন
লোকের আছে,
জলেতে
বাস করে
ডিম পাড়ে
গাছে।
১৯১       মুখখানি
কালো করে
ফিরেছিল ঘরে
ঘর
খুলে তবু
তারে টেনে
আনি ধরে।
১৯২      নাকটি
চেপে বসে,
কানটি ধরে
টেনে
জগৎখানা
ঘুরে বেড়ায়
বলো না
সে কে?
১৯৩      হাতির
মতো দাঁত
আমার, নই
যে ঐরাবত,
উলুবনে
ট্র্যাক্টর ছালাঈ, নেইকো আমার রথ।
১৯৪      উপুড়
হইতে পারলো
বুড়ি কাঁথা
কম্বল লইয়া,
ভাসতে
ভাসতে যায়
বুড়ি কানাই
নগর দিয়া।
১৯৫      কোন
পাখির ডিম
হয় নাই
বলো দেখি
ভাই
না
বলতে পারলে
বুঝবো ঘটে
বুদ্ধি নাই।
১৯৬      সবুজ
বুড়ি হাটে
যায়, হাটে
গিয়ে চিমটি
খায়
বুড়ো
হলে কেটে
কুটে ডুগডুগি
বাজায়।
১৯৭      নাই
মুখ, নাই
মাথা টিপে
দিলে কয়
কথা।
খাঁচায়
থাকে বন্দী
হয়ে, যেটে
পারে না
যথা তথা।
১৯৮      হাতুড়ী
বাটলি বাইশটা
চোরে নিল
বাইশটা
চটপট
বলে ফেলো,
বাকী থাকে
কয়টা ?
১৯৯      হাত
নাই, পা
নাই তবু
গোড়গোড়িয়ে যায়
শোকে,
দুঃখে, সুখে
– সর্বলোকে খায়
২০০      এমন
একটা দেশ
চাই,যে
দেশে মাটি
নাই,
এমন
আজব দেশের
নাম কি
বলতো ভাই।
