জমি/বাড়ি/ফ্ল্যাট কেনা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর
জমি কিনতে চাইলে কোন কোন বিষয়ে খোঁজ নেবেন ? কি, নাজানা থাকলে জমি কিনে বিপদে পড়তে পারেন?
জমি কিনতে চাইলে প্রথম এবং প্রধান কর্তব্য হলো জানা,
যিনি জমি বিক্রি করছেন তার মার্কেটেবল টাইটেল
(বিক্রয়যোগ্য স্বত্ব)। এবার দেখতে হবে তাতে আইনগত কোনও বাধা আছে কি না।
পুকুর ভরাট করে তৈরি হওয়া জমি কেনার বিপদ কোথায় ? এই জমিকে আইনসম্মত বলা যায় না কেন ?
জমি কেনার সময় অবশ্যই খোঁজ নিতে হবে যে,
ওই জমিটা পুকুর ভরাট করে তৈরি কি না। কারণ পুকুর ভরাট করা জমিতে বাড়ি তৈরি করা যায় না ।আর পুকুর বোজানো কি না তা জানার জন্য মিনিসিপাল রেকর্ড দেখতে হবে। পাশাপাশি এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজনের কাছে খোঁজখবর নিতে হবে। এবং যিনি বিক্রি করছেন তাকে চিঠি দিয়ে জানতে হবে ওই জমির চরিত্র কেমন ছিল।
পরচা কি ? এটি কেন গুরুত্বপূর্ণ
?
পরচা মানে হল,
“রেকর্ড অফ রাইট”।যেটা ভূমি রাজস্ব দপ্তর থেকে জানা যাবে। ওই পরচা থেকে জানা যাবে,
কে মালিক ছিল,
জমির চরিত্র কিইত্যাদি ।এজন্য পরচা এত গুরুত্বপূর্ণ।
জমি রেজিস্ট্রেশন করাতে হয় কেন ?
রেজিস্ট্রেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জমি কেনাবেচা ইত্যাদি রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে রেজিস্ট্রি করাতে হয়। অর্থাৎ একটা অফিসে সেই জমিটার বিষয়ে খোঁজখবর পাওয়া যায়। রেজিস্ট্রি করা না থাকলে কেউ বুঝতে পারবে না,
জমি কার ছিল,
কে বিক্রি করেছে ইত্যাদি ।
জমির ভ্যালুয়েশন কিভাবে নির্দিষ্ট হয় ?
জমির ভ্যালুয়েশন স্বাভাবিকভাবে করা হয় ওই সময়ে জমির মূল্য অনুযায়ী।
রেজিস্ট্রেশন ফি কিসের উপর ভিত্তি করে স্থির করা হয় ?
রেজিস্ট্রেশন ফি পরিবর্তন হয়। অতএব রেজিস্ট্রেশন করার আগে নিরাপদ হল,
খোঁজখবর করে ফি জমা দেওয়া।
কে এম
ডি এ বা বি
এল এন্ড এল আর ও অফিসে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কোন ধরনের খোঁজ নেওয়া দরকার
?
এখানে গিয়ে খোঁজ করতে হবে জমির মালিক কে,
সরকার অধিগ্রহণ করেছে কি না,
ভেস্টেড ল্যান্ড কি না ইত্যাদি। কে এম ডি এ বা বি এল এন্ড এল আর ও অফিসে এসে এসব খোঁজ করা বিশেষ প্রয়োজন।
ভেস্ট জমি কি ? তার সঙ্গে ব্যক্তিমালিকানার জমির তফাৎ কোথায় ?
ভেস্ট মানে হচ্ছে জমির মালিকানা স্বত্ব সরকারের ।এই ভেস্ট জমি কেনা যায় না। ভেস্টেড জমির মালিক সরকার ।ব্যক্তিগত মালিকানা থাকে না ভেস্টেড জমিতে ।
সরকারি নোটিফিকেশন করা জমি কাকে বলে ? এই ধরনের জমি কেনার বিপদ কি ?
কোন জমি সরকার অধিগ্রহণ করার জন্য যে নোটিফিকেশন জারি করা হয়,
তাকে বলে সরকারি নোটিফিকেশন। এই নোটিফিকেশন-এর
মানে হল,সকলকে জ্ঞাত করা হচ্ছে,
ওই জমি সরকার কোনও না কোনও সময় জনগণের স্বার্থে অধিগ্রহণ করবে।
দলিল কি ? কত রকম হয় ?
দলিল মানে হল ডকুমেন্ট অব টাইটেল। যেমন সেল ডিড,
লিজ ডিড,
গিফট ডিড,
মর্টগেজ ডিড ইত্যাদি। এর দ্বারা জমি,
বাড়ি হস্তান্তর করা হয়।
জাল দলিল কিভাবে চেনা যায় ?
বণ্টননামার ক্ষেত্রে সহ-শরিকদের অজান্তে ভুয়া বণ্টননামা করে দলিল জাল এজমালি সম্পত্তি অর্থাৎ ভাইবোন মিলে যে সম্পত্তি ভোগ করে থাকে, এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ভাইয়েরা বোনদের না জানিয়ে দলিল তাদের নামেই করিয়ে থাকে মালিকানা ছাড়াই দলিলদাতা সেজে বা কাউকে মালিক সাজিয়ে জমি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে রেজিস্ট্রি করে নেয়া হয় অনেক সময় অর্পিত সম্পত্তি বা মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি জীবিত দেখিয়ে জাল করা হয়।
সাধারণত যেসব ক্ষেত্রে আদালত থেকে বণ্টননামা সম্পন্ন করা হয় না, সে ক্ষেত্রে দলিল জালের সম্ভাবনা বেশি থাকে মালিক বিদেশে থাকলে মূল দলিল থেকে জালিয়াতি করা হতে পারে।
জালের রকমফেরঃ
অনেক সময় ঘষামাজা করে এবং ওভাররাইটিং বা কাটাছেঁড়া করেও দলিল জাল করতে পারে। আবার মূল তারিখ ঠিক রেখে দলিলের বিষয়বস্তু জাল করতে পারে।
১। কোনো দলিল নিয়ে সন্দেহ হলে রেজিস্ট্রি অফিসে সংরক্ষণ করা দলিলের সাথে সাল মিলিয়ে দেখতে হবে। এ জন্য নির্দিষ্টভাবে দরখাস্ত করতে হবে। এতে দলিলটির যাবতীয় তথ্য দিতে হবে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিলের প্রকৃতি অনুযায়ী চারটি রেজিস্ট্রার বা ভলিউমে সংরক্ষিত থাকে।
২। বিক্রেতার কাছ থেকে সব দলিল চেয়ে নিতে হবে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে জানতে হবে সব দলিলের ক্রমিক নম্বর, দলিল নম্বর ঠিক আছে কি না।
৩। সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে জমির মিউটেশন বা নামজারি সম্পর্কে খোঁজ নিতে হবে। নামজারিতে ধারাবাহিকতা ঠিক আছে কি না, পর্যবেক্ষণ করুন। যদি দেখা যায়, সিএস জরিপের সঙ্গে বিক্রেতার খতিয়ানের কোনো গরমিল থাকলে ধরে নিতে হতে সমস্যা আছে।
৪। দলিল সম্পাদনের সময় ব্যবহৃত স্ট্যাম্পের পেছনে কোন ভেন্ডার থেকে স্ট্যাম্প কেনা হয়েছে এবং কার নামে কেনা হয়েছে খেয়াল রাখুন। প্রতিটি স্ট্যাম্পের পেছনে একটি ক্রমিক নম্বর উল্লেখ থাকে। এ নম্বরটি ঠিক আছে কি না, প্রয়োজনে স্ট্যাম্প বিক্রেতার সঙ্গে দেখা করে যাচাই করে নিন।
৫। একাধিক মালিকের ক্ষেত্রে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে মূল মালিক কে, তা নির্ণয় করতে হবে।
৬। ভূমি অফিস থেকে বিভিন্ন সিল পরীক্ষা করেও জালিয়াতি নির্ণয় করা যায়।
৭। অনেক সময় স্বাক্ষর জালিয়াতি করে দলিলদাতা বা গ্রহীতার সাজা হয়। এ ক্ষেত্রে স্বাক্ষর বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে স্বাক্ষরের সত্যতা যাচাই করিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
৮। ভালো করে তারিখ, কাগজ, সিল ইত্যাদি লক্ষ্য করুন। দেখুন কোন অসংলগ্ন চোখে পড়ে কিনা।
৯। জরিপ খতিয়ানে জমির পরিমাণ পরবর্তী সময়ে যতবার বিক্রি হয়েছে, তার সঙ্গে জমির পরিমাণ মিল আছে কি না, তা যাচাই করুন। দাগ নম্বর, ঠিকানা এসব ঠিক আছে কি না, পরীক্ষা করুন।
১০। সম্প্রতি কোনো আমমোক্তারনামা দলিল থাকলে তাতে উভয় পক্ষের ছবি ব্যবহার হয়েছে কি না যাচাই করতে হবে।
১১। কোনো দান করা জমি হলে দলিলে সম্পাদনের তারিখ দেখে কবে জমিতে গ্রহীতা দখলে গেছে তা যাচাই করতে হবে। দলিলটি রেজিস্ট্রি করা কি না এবং দলিলদাতার সঙ্গে গ্রহীতার সম্পর্ক কী, তা যাচাই করতে হবে।
১২। সম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া কোনো বিক্রীত দলিলের দলিল লেখকের নাম ঠিকানা জেনে সরেজমিন কথা বলে নেওয়া দরকার।
জমি, বাড়ি বা ফ্ল্যাটের দলিলের মধ্যে পার্থক্য কোথায় ?
জমি, বাড়ি ও ফ্লাট এর দলিল করার উদ্দেশ্য এক।কোনও পার্থক্য নেই। কারণ জমি,
বাড়ি ও ফ ফ্ল্যাট হস্তান্তর করার জন্য একটি দলিল প্রয়োজন যা আইনআনুসারে রেজিস্ট্রি করতে হবে। দলিল করার আগে ওই জমি,
বাড়ি বা ফ্লাটের মালিকানার ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করতে হবে একজন আইনজীবির সাহায্য নিয়ে। যেমন রেজিস্ট্রি অফিসের কুড়ি বছরের ইতিহাস ইত্যাদি। উদ্দেশ্যও একই। যিনি বিক্রি করছেন তার স্বত্ব
(রাইট)সঠিক আছে কিনা।
একটা দলিলে জমি, বাড়ি বা ফ্ল্যাট সম্বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ কোন কোন বিষয় গুলো দেখে নেওয়া বা বুঝে নেওয়া দরকার ?
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেগুলি দেখা প্রয়োজন তা হল,
যিনি বিক্রি করছেন তার রাইট,
টাইটেল ও ইন্টারেস্ট সঠিক আছে কি না ।এইসব ব্যাপারে একজন দক্ষ আইনজীবী সাহায্য নেওয়া ভালো।
জমি বা বাড়ির প্লানের ওপর কর্পোরেশন বা মিউনিসিপালিটির ছাপ বা সীলমোহর থাকা জরুরি কেন ?
কোনও বাড়ির প্ল্যান স্যাংশন হয়ে গেলে কর্পোরেশন বা মিনিসিপালটি সরকারি ভাবে চাপ দিয়ে দেয়। এ টাই প্রমাণ,
প্ল্যান স্যাংশন হয়ে গিয়েছে । ছাপ বা সীলমোহর না থাকলে বাড়ির প্লান স্যাংশন হয় না।
শালি জমির উপর বাড়ি করা যায় না কেন ?
শালি জমির ওপর আইনগতভাবে বাড়ি করা যায় না। করতে হলে জমির চরিত্র বদল করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন পশ্চিমবঙ্গ ল্যান্ড রিফর্ম অ্যাক্ট এর ৪/২ ধারা অনুযায়ী জমির চরিত্র বদলের জন্য দরখাস্ত করা । চরিত্র বদলের পর বাড়ি করা যেতে পারে।
ফ্ল্যাট কেনার আগে আইনি যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ সে গুলি কিকি ? আইনগত বিষয় ছাড়াও আর কি কি বিষয়ে নজর দিতে হবে ?
ফ্ল্যাট কেনার আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল,
১.যিনি ফ্ল্যাট বিক্রি করছেন তার রাইট,
টাইটেল ও ইন্টারেস্ট আছে কি না
২.জমির মালিক কে। যদি প্রোমোটার হন তাহলে জমির মালিকের সঙ্গে প্রোমোটারের যে চুক্তি হয়েছে তা ভালো করে পড়ে বুঝতে হবে। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সবাই অবহেলা করে,
সেটা হল কতটা ফ্লোর এরিয়া কিনছেন,
মাপবেন। কারণ ওদের দেওয়া মাপ সব সময় সঠিক থাকে না ।
৩.অনেকগুলো অধিকার আছে যেমন ছাদে ওঠা,
জলের সংযোগ ব্যবস্থা ঠিক আছে কি না,
ওপেন স্পেসের অংশ ইত্যাদি সঠিকভাবে লেখা আছে কি না। যেগুলো নিয়ে পরবর্তীকালে মামলা হতে পারে ।আরও দেখে নেবেন সঠিকভাবে প্ল্যান স্যাংশন হয়েছে কিনা। বিদ্যুৎ সংযোগ ঠিক আছে কিনা ইত্যাদি।
মিউটেশন কাকে বলে ? প্লেটের সঙ্গে জমির মিউটেশন এর পার্থক্য কোথায় এবং কতটা ?
মিউটেশন মানে হল,
সরকারি নথিপত্রে কোনও কোন জমি বা ফ্ল্যাটের ক্রয়-
বিক্রয়ের ব্যাপারে লিপিবদ্ধ করা হয়। যাতে বোঝা যায়,
কে মালিক ছিল,
কে কাকে বিক্রি করেছে ইত্যাদি বিবরণ। ফ্ল্যাট বা জমির মিউটেশন এর পদ্ধতি ও উদ্দেশ্য এক।
ফ্ল্যাট বা বাড়ির কর কিভাবে নির্ধারিত হয় ?
কর নির্ধারণ করা হয় মূল্য অনুযায়ী। মালটিস্টোরিড বিল্ডিং অ্যাক্ট একটি পৃথক আইন আছে
,যার সাহায্যে ফ্ল্যাট গুলোর কর নির্ধারণ করা হয় । আর বাড়ির কর
নির্ধারণ করে মিউনিসিপ্যালিটি। যদিও এ ব্যাপারে স্বচ্ছতার খানিকটা অভাব রয়েছে।
সিসি বা কমপ্লিশন সার্টিফিকেট কেমন বাড়িতে দেয়া হয়। এই সার্টিফিকেট থাকলে সুবিধা কি কি ?
একটি বাড়ির প্ল্যান অনুযায়ী করার পর যখন বাড়ি তৈরি শেষ হয়ে যায় তখন কমপ্লিশন সার্টিফিকেট দেয়ার প্রশ্ন ওঠে। সেই সময় কর্পোরেশন বা মিউনিসিপ্যালিটি দেখবে বাড়ি বা ফ্লাটটি প্ল্যান অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে কি না। যদি তারা সন্তুষ্ট হয়,
তবে তারা কমপ্লিশন সার্টিফিকেট দেবে। কমপ্লিশন সার্টিফিকেট ছাড়া ফ্ল্যাট বা বাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না। করলে জরিমানা হবে।
বুকিং মানি কি ? প্রোমোটার এই টাকা কখন এবং কি খাতে নিতে পারে ? তার রশিদই বা সে কিভাবে ক্রেতাকে দেবে ?
বুকিং মানির প্রচলিত অর্থ হল,
এগ্রিমেন্ট টু পারচেজ বাই দি পারচেজার ।এর মাধ্যমে প্রোমোটার বিক্রি করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। কত টাকা প্রোমোটার বুকিং মানি হিসেবে নেবে,
তা কোনও আইনে লেখা নেই। এটা নির্ভর করে দুই পক্ষের দরাদরির ওপর।মনে রাখবেন এই এগ্রিমেন্ট করার সময় ধরুন এক লক্ষ টাকা বায়না হিসেবে দিলেন। তার সঙ্গে এটাও উল্লেখ করবেন
,যে একটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে
(অর্থাৎ এক বা দুই বা তিন বছর একটা সময় লেখা থাকবে
)প্রোমোটার ফ্ল্যাট দেবে । না পারলে প্রোমোটার ওই টাকা ফেরত দিতে বাধ্য থাকবে। এটা করার উদ্দেশ্য হল,
চাপ সৃষ্টি করা অর্থাৎ প্রোমোটার অযথা কোনো কারণ ছাড়া যেন বিব্রত না করতে পারে।
দানপত্র কি ? তা করার নিয়ম কি কি ? এবং করতে কত খরচ হয় ?
দানপত্র মানে হল,
সম্পত্তি দান করা। যাকে বিক্রি করা বলা যায় না । এই দানপত্র করতে হবে একটি দলিল তৈরি করে । দানপত্র সম্পাদন করার সঙ্গে সঙ্গেই দানপত্র কার্যকরী হয়। দানপত্র করতে খরচ এর কোনো সীমা নেই । কারণ আইনজীবীরা তাদের পারিশ্রমিক নেবেন এবং রেজিস্ট্রেশন ফি,
স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হবে আইনমোতাবেক সরকারকে।
রিসেল ফ্লাট ও নতুন ফ্ল্যাট কেনা বেচার নিয়ম কি ?
রিসেল ফ্লাট ও নতুন ফ্ল্যাট কেনা বেচার নিয়ম প্রায় একই । শুধু ভালো করে দেখতে হবে মালিকানা স্বত্ব ঠিক আছে কিনা। রিসেল ফ্লাটের ব্যাপারে বিশেষভাবে খোঁজ নিতে হবে ফ্ল্যাটটি বন্ধক দেওয়া আছে কিনা আর কোন আঘটন ঘটে ছিল কিনা।
জমি বাড়ি বা ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে মালিকানা বিষয়ক ধারা গুলো কেমন হওয়া উচিত ?
মালিকানা বিষয়ে ধারাগুলো এমন ভাবে থাকতে হবে,
যাতে যিনি বিক্রি করছেন তার রাইট,
টাইটেল ও ইন্টারেস্ট সঠিকভাবে থাকে,ওই
বাড়ি বা ফ্ল্যাট নিয়ে কোনো মামলা নেই। যাকে বলে ফ্রী ফ্রম অল লিতিগেশনস।
সার্চিং কাকে বলে
? জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সার্চিং করানো প্রয়োজন হয় কেন সার্চিং কার মারফত এবং কিভাবে করানো যেতে পারে
?
জমি বা
বাড়ি কেনাবেচা করার আগে রেজিস্ট্রি অফিসে সার্চ করতে হয় । কুড়ি বছরের মধ্যে ওই সম্পত্তি দান বা বিক্রি হয়েছে কিনা অর্থাৎ মালিকানাস্বত্ব ঠিক আছে কিনা এটা দেখবার জন্য সার্চিং করা হয়।
সেল এগ্রিমেন্ট কাকে বলে ? এর সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন এর পার্থক্য কি ?
কলকাতা হাইকোর্টের একটি রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এখন যেকোনও সেল এগ্রিমেন্ট কার্যকরী করতে গেলে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক।
যৌথ মালিকানায় ফ্ল্যাট বাড়ি বা জমি কেনার নিয়ম কানুন কি কি ?
নিয়মে একই। অর্থাৎ যৌথ মালিকানার স্বত্বে প্রত্যেকের কি কি অধিকার আছে এবং তাদের বিক্রয়যোগ্য অধিকার আছে কি না,
ওই বাড়ি বা জমি নিয়ে কোনো মামলা আছে কিনা বা কত বছরের খাজনা বা কর বাকি আছে এসব দেখে নিতে হবে।
আইন অনুযায়ী মোট জায়গার কতটা অংশে বাড়ি তৈরি করা যায় ?
এটা নির্ভর করে মিউনিসিপ্যালিটির যে বিধিনিষেধ আছে তার ওপর। বাড়ি করতে গেলে পেছনে ও পাশের জায়গা ছেড়ে বাড়ি তৈরি করতে হবে। সেটা না করলে বিল্ডিং প্ল্যান স্যাংশন হবে না।
ভাড়াটে সমেত বাড়ি কেনার সময় কি বিষয়ে জেনে নেওয়া উচিত ?
ভাড়াটে সমেত বাড়ি কিনলে প্রচুর ঝামেলা আছে । প্রথমত, সহজে উচ্ছেদ করতে পারবেন না । দ্বিতীয়ত, ইচ্ছেমতো ভাড়া বাড়ানো যায় না। ইলেকট্রিক সংযোগ কে দেবে বাড়ির মালিক না ভাড়াটে। আইন হচ্ছে বিদ্যুৎ সংযোগ বা জল সংযোগ বাড়ির মালিক আইনত বন্ধ করতে পারেন না। এটা দণ্ডনীয় অপরাধ । এ কারণে ভাড়াটে সমেত বাড়ি কেনার ইচ্ছে পরিহার করা ভালো
শরিকি বাড়ির অংশ কেনার সময় কি কি বিষয় দেখে নিতে হবে ?
শরিকি বাড়ি কেনার ক্ষেত্রেও অনেক ঝামেলা আছে। কোন শরীকের কতটা অংশ আর ওই শরিকেরা বাড়িতে বা ফ্ল্যাটে থাকেন,
নাকি অন্যত্র থাকেন ইত্যাদি আপনাকে দেখে নিতে হবে।
দোকান মন্দিরসহ বাড়ি কেনার নিয়ম কি ?
মন্দির ওয়ালা বাড়ি কেনার অনেক ঝামেলা আছে। ওই বাড়িটি যদি দেবোত্তর হয়,
তাহলে কিনতে পারবেন না। ট্রাস্ট হলেও কিনতে পারবেন না। দোকান সমেত বাড়ি কেনার অনেক ঝামেলা আছে। অতএব দোকান ও মন্দিরসহ বাড়ি না কেনা ভালো। কোনও আইনে এইভাবে বাড়ি কেনার কোনও বিধান নেই।
কনফার্মিং পার্টি কি ? সেল এগ্রিমেন্টতার সই গুরুত্বপূর্ণ কেন ?
যদি কোনও পার্টির কোনও স্বত্ব বা অধিকার যতই ন্যূনতম হোক,
বাড়ি বিক্রি বা এগ্রিমেন্ট করাতে কনফার্মিং পার্টি হিসেবে তার সই থাকা বাঞ্ছনীয় । তা না হলে সেই কনফার্মিং পার্টি এই চুক্তি মানতে বাধ্য থাকবে না । এটা হচ্ছে এক
ধরনের রক্ষাকবচ।
কোন বাড়ি নিয়ে মামলা চললে বিক্রি করার উপায় কি ?
কোনও বাড়ি নিয়ে মামলা চলাকালীন কোর্টের নির্দেশ ছাড়া বিক্রি করা যায় না।
জমি প্রোমোটিংয়ে দিলে প্রোমোটার ও জমির মালিকের মধ্যে চুক্তিতে কি কি বিষয় উল্লেখ থাকা জরুরি ?
•মালিকের সঙ্গে প্রোমোটারের একটি আইনসঙ্গত চুক্তি হয়েছে।
•প্রোমোটারকে বাড়ি তৈরি করার পর বিক্রি করার জন্য অনুমতি দেওয়া আছে।
•প্রোমোটার বাড়ি তৈরি করার পর মালিকের অংশটি প্রথমেই দিতে হবে। তারপর জমির মালিক বিক্রি করতে পারবে। তা না হলে প্রোমোটার ভালো জায়গার ফ্ল্যাট আগে বিক্রি করে পিছনের দিকের ফ্ল্যাট,
জমির মালিককে দিয়ে দেবে।
•বাড়ি করার ব্যাপারে চুক্তিতে আরও উল্লেখ থাকবে,
ভালো মানের মালমশলা ব্যবহার করতে হবে।
•নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করতে হবে। যাতে নির্ধারিত সময়ে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করতে পারে তার জন্য কিছু পরিমাণ টাকা জমির মালিকের কাছে প্রোমোটারের জমা থাকা উচিত। প্রোমোটার চুক্তি ভঙ্গ করলে ওই টাকা বাজেয়াপ্ত হবে।
Hey, I was read your blog it very helps full and filled with lots of information. I was read your blog and with this blog, I got to know how much important is SEO writing. I was also read another blog it will also helpful for Freelance Content Creator in Delhi.
ReplyDeleteFreelance Content Creator in Delhi
জমি/বাড়ি/ফ্ল্যাট কেনা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর - Primary School Study Guides >>>>> Download Now
ReplyDelete>>>>> Download Full
জমি/বাড়ি/ফ্ল্যাট কেনা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর - Primary School Study Guides >>>>> Download LINK
>>>>> Download Now
জমি/বাড়ি/ফ্ল্যাট কেনা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর - Primary School Study Guides >>>>> Download Full
>>>>> Download LINK
অনলাইনে জমি রেকর্ড করা যায় কি?
ReplyDelete