২৫১      জন্মেতে
দুই শিং
পুরো মাসে
নাই।
                মৃত্যুতে দুই
শিং দেখেছো
কি ভাই?
২৫২       উপর
থেকে পাখী
এলো শন
শন করে
                 মরা পাখী ধান
খায় কড়মড়
করে।
২৫৩      একটা
ঘরে সাতটি
বাটি
                যে না
বলতে পারে
কার নাক
কাটি।
২৫৪      এক গাছে তিন
তরকারি 
                বলতে পারে
কোন ব্যাপারী।
২৫৫      হায়
তরমুজ করি
কি
                বোঁটা নেই
তার ধরবো
কি!
২৫৬      রাত্রিকালে
আঁধারেতে যায়
যার ঘরে
                সে বাড়িতে
সকল লোকে
কান্নাকাটি করে।
২৫৭      আকাশে
ঝিকিমিকি চৌতালায়
তার বাসা
                যে কোন
মানুষের খাইতে
বড় আশা।
২৫৮      মাতব্বর
নাম তার
কেশব পুরে
বাড়ী
                লক্ষ্মীপুর ধরা
পড়ে জীবনখান
মারি।
২৫৯      জলের
মাঝে জন্ম
হলো দুই
অক্ষরের প্রাণী
                শেষের অক্ষর
ছেড়ে দিলে
হয় মহারাণী।
২৬০      পায়ে
আঘাত করলেও
করে নাকো
রাগ
                খেতে দিয়ে
কেড়ে নিলে,
তাও করে
না রাগ।
২৬১      জীবন্তে
মৌন থাকে
মরিলে সে
ডাকে
মঙ্গলে তারে কেউ
বা ঘরে
এনে রাখে।
২৬২      এক
পেটে তিন
মাথা মাঝে
আগুনের গোলা
                না বলতে
পারলে খেতে
হবে কানমলা।
২৬৩      একটি
বুড়ির আছে
শুধু বারটিই
ছেলে
                তার বারো
ঘরে থাকে
এখন ৩৬৫টি
ছেলে।
২৬৪      রক্তে
ডুবু ডুবু
কাগজের ফোঁটা
                যে বলতে
না পারে
সে এক
নম্বরের বোকা।
২৬৫      কলের
মধ্যে দিলে
পা
                ভাগ্যের লিখন
হবে তা।
২৬৬      দশ
শির এক
মুণ্ডু সে
নয় রাবণ
                সকলে খাইতে
দেয় তাহার
বাঞ্জন।
২৬৭      সবার
ঘরে সবার
কাছে আমার
যে থাকা
                ছয়মাস সাথে
থাকি, ছয়মাস
একা।
২৬৮      দিন
গুনি, সপ্তা
গুনি, আরো
গুনি মাস
                এমনি করেই
কাটাই আমি
পুরো বারো
মাস।
২৬৯      অনেকেই
খায় না,
কিছু লোকে
খায়
                বন্ধুদের না
খাওয়ালে মানহানি
যায়।
২৭০      দুই
তক্তার নৌকাখাণি
বারো ডাঁড়
বায়
                জলের মধ্যে
না গিয়ে
শুকনা দীয়েই
যায়।
২৭১      নোতুন
জামাই স্নান
করে, মাথায়
তার ছাদ
                যতো খুশি
জল ঢালো,
ভেজে না
তার কাঁধ।
২৭২      খেয়ালে
ভোজন, ধেয়ানে
স্নান
                এক সাথে
তিন কাজ
করে কোন
জন?
২৭৩      অন্ধ
বাগান বন্ধা
গাছ
                ফুল ফোটে
বারো মাস
২৭৪      হাত
নাই পা
নাই কে
এই নাগর
                পেট দিয়ে
পার হয়
জঙ্গল ও
সাগর।
২৭৫      কাঁচাতে
মানিক ফল
সর্বলোকে খায়
                পাকিলে মানিক
ফল গড়াগড়ি
যায়।
২৭৬      জন্ম
দিয়ে বাপ-মা হয়ে
গেল পর
                যার ছেলে
সে নিয়ে
গেল পোরশী
কেঁদে মর।
২৭৭      লেজ
ধরে টান
মারলে টপটপিয়ে
পড়ে
                গায়েতে আঘাত
লাগে আছে
অনেকের ঘরে।
২৭৮      কোনো
দিন দেখেনি
কেউ, হয়
না কখনো
                রেগে গেলে
লোকে বলে,
কোথাটা জেনো।
২৭৯      লুকবি
কালো মুখ
খোলের মাঝে
                মাথা কেটে
আজ তোরে
লাগাবো কাজে।
২৮০      কোলকাতা
থেকে মুম্বাই
                একটুও নড়াচড়া
করে নাই।
২৮১      থাকলে
ভালো হয়,
কিন্তু পাওয়া
ভালো নয়
                না বলতে
পারলে, সে
আমার বউ
হয়।
২৮২      ডাক
দিয়ে ভয়
দেখাই
                আলো দিয়ে
পথ দেখাই।
২৮৩     ফুটার
মাঝে খু’টা দিয়ে
নিশ্চিন্ত থাকে মানুষ
                যে না
বলতে পারে
সে একটা
বন মানুষ।
২৮৪      ঘেউ
ঘেউ করি
না, চুপচাপ
বাড়ী দিই
পাহারা
                শরীর মোদের
ঠাণ্ডা যে
রয় বলতে
পারো কাহারা
?
২৮৫      ছয়
পা বারো
হাঁটু জাল
ফেলেছে
                মাছ নেই,
জল নেই
ডাঙ্গাতেই থেকেছে।
২৮৬      মাটির
নীচে কাদা
উঠাইলে নবাব
জাদা
                যে না
বলতে পারে
সে একটা
গাধা।
২৮৭      লাল
বামুন হাটে
যায়, দুই
গালে দুই
থাপ্পড় খায়
                গরুর গাড়ী
চেপে যায়,
বিচালীর পরে
খালি গায়ে।
২৮৮     এইখান
থেকে মারলাম
থাল , থাল
চলে গেল
বরিশাল
                গাড়ী চড়ে,
লোকের কাঁধে
ঝলায় পেরিয়ে
বিল খাল।
২৮৯      এক
হাত গাছটা
                ফল ধরে
পাঁচটা।
২৯০      হাত
নেই, পা
নেই পিঠে
দিয়ে চলে
রাত দিন
                ঘড়ির কাঁটার
মতো একজন
ধরে আছে
শ্রীহীন।
২৯১      দুই
পায়ে আসে,
চার পায়ে
বসে, দুই
পা ঘষে
                খাবার-নর্দমা-গয়ালে-পায়খানায়
বসে।
২৯২      স্বামী
দিল হাতে
আমি রাখলাম
তাকে
                একটু পরে
দেখি কিছু
নেই তাতে।
২৯৩      কালো
পাথর গলায়
দড়ি
                রাত হলেই
খোঁজ করি।
২৯৪      দুই-পা ধরিয়া,
আপন কাজ
করিয়া, পরে
দেয় ছাড়িয়া
                ভালো করে
ভাবিয়া, ভালো
করে দেখিয়া,
বলো ঠিক
করিয়া।
২৯৫      হাত
ধরে টেপা-টেপি মুখ
করে কালো
                সাবান দিয়ে
কাজ সারলে
খুবই ভালো।
২৯৬      লহার
খুঁটি কাঁচের
ঘর
                তার মধ্যে
আলোর বর।
২৯৭      শুধু
পা আছে
হাতটা নাই
                এটা তাহলে
কি বলতো
ভাই।
২৯৮      এমন
দেশটি কোথাও
খুঁজে পাবে
নাকো তুমি
                যে দেশেতে
মাটি নেই,
খেয়ে নাও
রুমি।
২৯৯      মা
হলো দিদিমার
পেটে আমি
গেলাম বিবির
হাটে
                পুজোয় লাগি,
পুষ্টি যোগাই
, দিন আমার
ভালই কাটে।
৩০০      কোন
শহরটি খুলতে
মানা
                তোমার কী
আছে জানা।
