১০১ চার-চার-সাড়ে চার - তার ভেতর দিয়ে আড়াই
মোট
কত হল
?
১০২ চার
কলসী দুধে
ভরা ,ঢাকনি
ছাড়া উপর
করা ।
১০৩ পশ্চিম
থেকে এলো
বাঘ তিন
ঠ্যাং পোড়া
খায়
খড়কুটো হাগে
কড়া কড়া
।
১০৪ সকালে
জন্ম বিকালে
মরণ -
তার অভাবে সর্ব জীবের বিফল
জীবন
১০৫ যতো
হাসো ততো
হাসে যতো
রাগো ততো
রাগে
এই
শ্লোক ভাঙ্গাইতে অনেক চিন্তা লাগে।
১০৬ কালো
গাই কালেশ্বর
মাগেশ্বের থেকে দুধ পড়ে
যদি
গাইয়ে হাঁ
করে দুধ
পড়ে ঝাঁ
ক’রে।
১০৭ লকবি
কালো মুখ
খোলের মাঝে
মাথা
কেটে আজ
তোকে লাগাবো
কাজে।
১০৮ মায়ের
গর্ভে থেকে
সে মায়ের
মাংস খায়
মাটিতে
পড়িয়া সে
ছয় পায়ে
যায়।
১০৯ শুঁড়
দিয়া করি
কাজ নই
আমি হাতী
পরের
উপকার করি
তবু খাই
লাথি।
১১০ মামী
ডাকে মামা
বলে বাবাও
বলে তাই
ছেলেও
বলে মামা
মাও বলে
তাই।
১১১ সমুদ্রেতে
জন্ম আমার
থাকি সবার
ঘরে
একটু
জলের পরশ
পেলে যাই
গো আমি
মরে।
১১২ দেখে
এলাম দাদা
ছেতলার হাটে
একটি
মাত্র ছেলে
দুই মায়ের
পেটে
১১৩ দুই
অক্ষরের প্রাণীর
নাম পৃথিবীতে
থাকি
শেষ
অক্ষর বাদ
দিলে সেই
নামে ডাকি।
১১৪ চিলি
চিলি পাতা,
মোটা মোটা
ডাল
ফলটি
তার পাকা
যে, বীজটি
তার লাল।
১১৫ বাঘের
মতো দেয়
লাফ কুকুর
হোয়ে বসে
জলের
বুকে ছেড়ে
দিলে শোলা
হোয়ে ভাসে।
১১৬ আম
নয়, জাম
নয় গাছে
নাহি ধরে
সকল
লোকে ফল
বলে, জানে
শুধু তারে।
১১৭ আসে
জামাই বসে
বেয়াই
বাড়ীর
সবাই কেমন
আছে ভাই
?
১১৮ এলাম
কাজে, বলি
না লাজে
আছে
শুধু দুই
ঠ্যাং-এর
মাঝে।
১১৯ একটুখানি
পুকুর জল
টলমল করে
এমন
বাপের ছেলে
নেই নেমে
মাছ ধরে।
১২০ হাসতে
হাসতে আসছো
তুমি চাতুরী
করবে কাকে
?
শ্বশুর
আমার বিয়ে
করেছে, তোমার
শ্বশুরের মাকে।
১২১ এক
বেড়ীর নাম
পার্বতী
নাচতে
নাচতে গর্ভবতী।
১২২ চোখে
চোখে রাখে
মোরে পুরুষ
রমণী
সকলের
শেষে মোর
আছে শুধুই
জননী।
১২৩ আকাশ
থেকে পোড়লো
গোটা তার
মধ্যে মউ
(রক)
যে
না বলতে
পারে সে
আমার বউ।
১২৪ হাঁটুহীন
দুই শিং
থাকে সে
জঙ্গলে
দাঁড়িয়ে
ঘুমায় সে
পড়ে না
টলে!
১২৫ এক
ঘাটে টিনটা
মুড়ো, তার
ওপর বুড়ো
জমিদার
বুড়ো
বসে টলমল
করে, মূখ
দিয়া ফেনা
পড়ে তার।
১২৬ দাম
দাম ভুরু
ভুরু ডামের
তলে বাসা
বাঘ
নহে ভাল্লুক
নহে মানুষ
খওয়ার আশা।
১২৭ দিনের
বেলায় ঘুমিয়ে
থাকে রাতের
বেলায় জাগে
ঘর
নেই, বাড়ি
নেই, পোরের
উপকারে লাগে
১২৮ চার
পায়ে বসি
আমি আট
পায়ে চলি
বাঘ
নই, কুমীর
নই, আস্ত
মানুষ গিলি।
১২৯ লাল
গাভী বন
খায়
জল
খেয়ে মারা
যায়
১৩০ আড়াই
শত থেকে
পাঁচ পঞ্চাশ
গেলে
কালিদাসের
ধাঁয় আর
কতো পেলে
?
১৩১ তিন
অক্ষরের নাম
যার সর্বলোকে
চিনে
শেষের
অক্ষর ছেড়ে
দিলে, বলে
না ঈংরাজী
বিনে।
১৩২ হাত
আছে, পা
নাই মাথা
তার কাটা
আস্ত
মানুষ গিলে
খায় বুক
তার ফাটা।
১৩৩ এমন
একটা জিনিস
আছে সকল
লোকে খায়
ছোটরা
ওসব খেলে
পরে মায়ের
কাছে যায়।
১৩৪ চারিদিকে
কাঁটা বেত
মধ্যিখানে
খান সাহেব।
১৩৫ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা খেলে
মাথায় হাত
সকল লোকেই
খায়
যুবক
যুবতিরা খেয়ে
এটা, এদিক
সেদিকে চায়।
১৩৬ বাড়ীর
পাশে কাঠের
গাই
বছর
বছর দুধ
পাই।
১৩৭ ছাল
খাই না,
বাকল খাই
না, খাই
সুধু তার
পানি
গ্রীষ্মকালে
খেতে মজা
আমরা সবাই
জানি।
১৩৮ ভাষা
আছে, কথা
আছে সাড়া
শব্দ নাই
প্রাণীর
কাছেতে আছে
, তবু নিজের
প্রান নাই।
১৩৯ সাগরেতে
জন্ম তার
আকাশেতে ওড়ে
পর্বতের
মার খেয়ে
কেঁদে ঝরে
পড়ে।
১৪০ দুই
অক্ষরে নাম
তার জলেতে
জীবন
ই-কার যোগেতে
হয় রোগের
কারণ।
১৪১ যৌবনে
খুবই ঝাল
রস নাহি
থাকে
বৃদ্ধ
কালে রসে
ভরা, থাকে
লোকের মুখে।
১৪২ খুঁজতে
গেলে পাই
না
পেলে
পরে নিই
না!
১৪৩ দূরে
দূরে দেখি
তারে পাই
না সীমানা
কাছে
গেলে রয়
সে দূরে
থাকে অজানা।
১৪৪ জ্বলে
চলে, রাতে
শূন্যতেও চলে
দিবসে
মরণ তার
পূর্ণ রাত
জ্বলে।
১৪৫ সব
কিছু পাড়ি
দিয়ে যায়
নদীর
কাছে গেলে
থেমে যায়।
১৪৬ সাগরে
থাকি বাজারে
থাকি, থাকি
রান্না ঘরে
রান্না
বান্নায় কম
পড়লে সবে
রাগটি করে।
১৪৭ আকাশে
বাতাশে আছি
পৃথিবীতে নাই
চাঁদ
আর তারায়
আছি সূর্যেতে
নাই।
১৪৮ আমার
মধ্যে আছো
তুমি, তোমার
মধ্যে নাই
দিদির
মধ্যে আছো
তুমি, বাবার
মধ্যে নাই।
১৪৯ মূখ
দিয়ে খায়,
মূখ দিয়ে
হাগে
দিনে
ঘুমোয় রাতের
বেলায় জাগে।
১৫০ মেটে
গোয়াল কাঠের
গাই
বাছুর
বিনা দুধ
পাই।