২০১ দিনে
করি শতেক
বিয়া কাবিন
নাহি হয়
ছেলে
মেয়ের মালিক
আমি কোন
কালে নয়।
২০২ নই
আমি বৃক্ষ
তবু শাখা
আছে মোর,
সব
সময় থাকি
আমি মাঠাড়
ওপর।
২০৩ গাছ
নাই, আছে
পাতা, মুখ
নাই বলে
কথা
বলতে
না পারলে
খাও আমার
মাথা।
২০৪ এক
গাছে এক
বুড়ি চোখ
তার বারো
কুঁড়ি
ছোখ
না কেটে
খেলে, গলায়
লাগে যে
সুড়সুড়ি।
২০৫ ঘর
আছে দুয়ার
নাই, মানুষ
আছে শব্দ
নাই
ঘরের ছাদ
মাটি চাপা,
আলো ঢোকবার
জায়গা নাই।
২০৬ কালো
হরিণ থাকে
কালো জঙ্গলের
ধারে
দশজনে
ধরে আনে
দুইজনে মারে।
২০৭ শিশুকালে
বস্ত্রধারী আর যৌবনেতে উলঙ্গ
বৃদ্ধ কালে
জটাধারী মাঝখানে
সুরঙ্গ।
২০৮ কাঁচা
খাও পাকা
খাও খেতে
যে রসল
খেতে যে
রসাল
আমি
যদি খেতে
বলি চলে
হও লাল!
২০৯ কোন
শহর খুলতে
মানা
তোমার কী
আছে জানা
?
২১০ শু
বসন দেহ
তার, করে
মানুষের উপকার
চিতায় তারে
পুড়িয়ে মারে
মানুষ করে
অত্যাচার।
২১১ এক
বুড়ীর এক
মুখ তিন
মাথা
সকালবেলায় রোজই
খায় লতাপাতা।
২১২ শীতকালে
যার নাইকো
দাম
নিদাঘকালে অনেক
দাম।
২১৩ নারীর
মহলে থাকি
গায়র রংটি
সবুজ
নিত্য
ফেলে নেশা
হয়, ছোটরা
খেওনা আবুঝ।
২১৪ সকল
জিনিস কাটলে
পরে ছোট
হয়ই হয়
একটিমাত্র জিনিস
আছে কাটলে
বড় হয়।
২১৫ এক
থাল সুপারী
গুণতে পারে
কোন ব্যাপারী
বলতে না
পারলে সে
হবে চুড়ি
পরা নারী।
২১৬ তিন
অক্ষরের নাম
আছে এক
প্রদেশ
মধ্যের অক্ষর
বাদ দিলে
খেতে লাগে
বেশ।
২১৭ হাত
নাই, পা
নাই রসিক
সাগর
অনায়াসে
পার হয়
অকুল সাগর।
২১৮ একটুখানি
চুনকাম করা
ঘর
ভেঙ্গে গড়তে
বললে গায়ে
আসে জ্বর।
২১৯ মাটি
দিয়ে তৈরী
আমার আমি
দেখতে হলে
শহরে যাও
তুমি।
২২০ কান
মলে দিলে,
তবু চলে
তার হাত
পেট ভরা
নাড়ীভুড়ি – চলে ডীণ রাত।
২২১ কাঁচাতে
তুলতুল পাকাতে
দল
ন্যাংটো হয়ে
বাজারে যায়,
জিভে আসে
জল।
২২২ লাথির
পর লাথি
খায় লাজ
লজ্জা নাই
মাথা তবু
উঁচু করে,
কোন শরম
নাই।
২২৩ মাথা
মুকুট, গোল
গা পেটের
মধ্যে হাত-পা,
চলে কিন্তু
নড়ে না,
এটা কি
ভাই বলো
না ?
২২৪ লম্বা
সাদা দেহ
তার মাথায়
টিকি রয়,
টিকিটে আগুন
দিলে দেহ
তার ক্ষয়!
২২৫ নিজ
মুখে সে
পরকে খাওয়ায়
ভুলেও কভু
সে নিজে
নাহি খায়।
২২৬ ছোট্টো
এক পুকুরে
জল টলমল
করে
সর্বনাশ
হয় যদি
কিছু তাতে
পড়ে।
২২৭ আকাশে
বাতাসে আছি
পৃথিবীতে নাই
চাঁদ আর
তারায় আছি
সূর্যতে নাই।
২২৮ জোরে
যদি মারো
তাকে জোরে
জোরে কাঁদবে
কান্না থামাতে
চাইলে হাত
দিয়ে ধরবে।
২২৯ ছুঁইলে
হাঁটে না,
না ছুঁইলে
হাঁটে
প্রতিদিন দেখা
যায় গীতাদের
ঘাটে।
২৩০ ভগবানের
তৈরি রাস্তা
মানুষের নাই
সাধ্য
হোড়েক রকম
নাম বলতে
মানুষে আজ
বাধ্য।
২৩১ বাজাইলে
বাজে, সাজাইলে
সাজে, পাওয়া
যায় বাজারে
হাত থেকে
পড়ে গিয়ে
ভেঙে গেল
আহা রে।
২৩২ মায়ের
পেট থেকে
বেরিয়ে মাকে
দিলাম ঘাই
সে আগুনে
জ্বলে-পুড়ে
ছারখার হলাম
ভাই।
২৩৩ সাগরে
জন্ম তার
আকাশেতে ওড়ে
পর্বতের মার
খেয়ে কেঁদে
ঝরে পড়ে।
২৩৪ একলা
তাকে যায়
না দেখা
সঙ্গী পেলে
বাঁচে
আঁধার দেখে
ভয়ে পালায়
আলোয় ফিরে
আসে।
২৩৫ মানুষের
কাঁধে চড়ি,
আমার পেটে
চড়ে মানুষ
হাত আছে
পা নাই,
নাহি কল্পনার
ফানুস।
২৩৬ সাগরে
থাকি, বাজারে
থাকি, থাকি
রান্নাঘরে
মাছের
ঝোলে বেশী
হলে রাগটি
সবাই করে।
২৩৭ দূরে
দূরে দেখি
তারে পাই
না সীমানা
কাছে গেলে
দূরে রয়,
থাকে সে
অজানা।
২৩৮ বলতে
পারো - এমন
কী জীব
আছে ?
একশত ঘর
তার এক
ভিটায় আছে।
২৩৯ যৌবনে
খুবই ঝাল
রস নাহি
থাকে
বৃদ্ধ কালে
রসে ভরা
থাকে লোকে
মুখে।
২৪০ নিত্য
আসে নিত্য
যায়
কালো ও
নীরব, নিত্য
হায়।
২৪১ গলা
জড়িয়ে আসে
রসিক যুবতী
মজার ওপর
সযতনে করায়ে
বসতি।
২৪২ কোর্ট
কাছারিতে বিচার
শুনি, জন্ম
আমার বোনে
সকল লোকে
মোর পেটে
বসে বড়
কষ্ট দেয়
মনে।
২৪৩ বিনি
সুতোর মোহন
মালা কেউ
দেখে না
তারে
ইহার এমনি নিষ্ঠুর
ধারা শেষ
করে ছাড়ে।
২৪৪ জলেতে
জন্ম যার,
জলে ঘর
বাড়ী
ফকির নহে
ওঝা নহে
মুখে ছাগল
দাড়ি।
২৪৫ উটের
মতো বুক
টান
কোন জিনিসের
চার কান
?
২৪৬ দিন
রাত পড়ে
তাকে লাথি
মারলে চলে
গ্রামের মধ্যে
থাকে সে
কথা নাহি
বলে।
২৪৭ বন
বাহির হয়
ওঝা
পাছায় লাঠি
মাথায় বোঝা।
২৪৮ উপরে
চাপ নীচে
চাপ
মধ্যিখান থেকে
বেরোয় সাপ।
২৪৯ বাকলায়
কড়ি সারে
খড়ি আগায়
তরকারি
না জানলে
যেনে নাও
এটা খুবই
দরকারি।
২৫০ এই
দেখি এই
নাই
রূপোলী লেজ
দেহ নাই
নিত্য আসে নিত্য যায়, কালোও নিরব নিত্য হায়-–-ধাঁধার উত্তর কি
ReplyDelete